মাখনে ক্যালোরি থাকে অনেকটা। এ কারণে ওজন কমাতে গেলে সবাই আগে মাখন খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। তবে জানেন কি? মাখনে ক্যালোরি বেশি থাকলেও এটি শরীরে জন্য অনেক উপকারী।

বিশেষ করে বাদামের মাখন অর্থাৎ পিনাট বাটার। পুষ্টিবিদরা এজন্যই খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে পিনাট বাটার রাখার পরামর্শ দেন।

জানেন কি, বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু প্রতিদিন পিনাট বাটার না খেয়ে ঘুমানই না। সম্প্রতি তুমুল জনপ্রিয় ‘পুষ্পা’ সিনেমার আইটেম গানের সঙ্গে নেচে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সামান্থা।

তার ‘ও আন্তাভা’ গানের ভিডিও মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। নাচের সঙ্গে সঙ্গে সবাই তার শারীরিক গড়নেরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সবারই জানার আগ্রহ সামান্থার এই আকর্ষণীয় ফিগারের রহস্য কী?

সামান্থা অভিনয়ের পাশাপাশি শরীরচর্চা নিয়েও বেশ সচেতন৷ ইনস্টাগ্রামে মাঝেমধ্যেই নিজের ওয়ার্ক আউট সেশনের ভিডিও শেয়ার করেন এই অভিনেত্রী। সেসব ভিডিওতে ইয়োগাসহ একাধিক ভারী শরীরচর্চাও করতে দেখা যায় তাকে।

ফিটনেস ধরে রাখতে শুরু ব্যায়াম নয় বরং খাদ্যাভাসেও তিনি সচেতন। ডায়েট নিয়ে না কি খুবই খুঁতখুঁতে স্বভাবের সামান্থা। সুস্বাস্থ্য পেতে অভিনেত্রী ডায়েটে অবশ্যই রাখেন পিনাট বাটার। স্বাদের পাশাপাশি ওজন হ্রাসের জন্যও এই মাখন আদর্শ।

অনেকেই ভাবতে পারেন, মাখন খেয়েও কী ওজন কমানো যায়? পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন দেড় চামচ করে পিনাট বাটার খেতে পারলেই কমতে পারে ওজন। তবে যে কোনো সময়ে নয়, একেবারে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।

পিনাট বাটারে থাকে ট্রিপটোফান নামের উপাদান, যা ঘুমের মধ্যেই ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। তবে চিনি ছাড়া হতে হবে অর্গ্যানিক পিনাট বাটার। তবেই মিলবে উপকার।

এ ছাড়াও কলার সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে আরও ভালো ফল মেলে। কারণ কলায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। যা ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে আরও দ্রুত ওজন কমায়।

পিনাট বাটারে আরও থাকে ফাইবার ও প্রোটিন। ফাইবার সমৃদ্ধ যে কোনো খারাই পরিপাক ক্রিয়ার জন্য ভালো। এ কারণে পিনাট বাটার খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকে।

এ ছাড়াও এতে থাকে উপকারী ভিটামিন। যা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে। এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কার্যকর পিনাট বাটার।

শরীরচর্চার আগে দু’টি পাউরুটির ওপর পিনাট বাটার লাগিয়ে খেতেই পারেন। তা ছাড়াও ফ্রুট সালাদের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারে এই মাখন।

যারা ওজন কমাতে ওটস খান। তারাও ওটসের সঙ্গে পিনাট বাটার মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পুষ্টিও মিলবে আর স্বাদও পাবেন।