একে তো শীতকাল তার উপরে আবার করোনা আবহ, সব মিলিয়ে এখন সুস্থ থাকাটাই চ্যালেঞ্জের বিষয়। এ সময় সর্দি-কাশির সমস্যা ছোট-বড় সবাই ভুগছেন! আর সর্দি-কাশিরে পাশাপাশি গলাব্যথাতেও কষ্ট পাচ্ছেন অনেকেই!
উদ্বেগের বিষয় হলো, ওমিক্রনের উপসর্গগুলোও মৃদু ও ফ্লুর উপসর্গেরই মতো। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এসময় ভেষজ উপাদান গ্রহণ করা জরুরি। ২টি উপাদান আছে, যা গ্রহণে দ্রুত সর্দি-কাশির সমস্যার পাশাপাশি গলা ব্যথা থেকেও মুহূর্তেই নিস্তার মিলবে।
১ চামচ হলুদের সঙ্গে ৪ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে মনে করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। এই দুটি উপাদানই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জেনে নিন কেন হলুদ ও মধু একসঙ্গে খাবেন-
হলুদে কারকিউমিনয়েড নামে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যৌগ থাকে। পলিফেনলের মতো, কার্কিউমিনয়েডের অনেক নিরাময় বৈশিষ্ট্য আছে। এর ফলে সব ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
হলুদে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা সহজেই ক্ষত ও অ্যালার্জির চিকিৎসা করতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে মধু ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঐতিহ্যগত অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে মধু বেশি শক্তিশালী।
হলুদ ও মধু একসঙ্গে গ্রহল করলে কী হয় জানেন?
১. হলুদ প্রদাহ কমায়
২. হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়
৩. ব্যথা কমায়
৪. ক্যানসার প্রতিরোধ করে
৫. উদ্বেগ ও বিষণ্নতা উন্নত করে
৬. মধু ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
৭. এটি অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে
৮. এটি রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে
৯. পোড়া ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে
১০. রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়
১১. সর্দি-কাশির প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।
গলাব্যথা কমাতে কীভাবে খাবেন হলুদ-মধুর মিশ্রণ?
সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন ১/৪ কাপ কাঁচা মধু, ২ ফোঁটা লেবুর এসেনশিয়াল অয়েল ও ১ চামচ হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন এই মিশ্রণ। অ্যালার্জি, ঠান্ডা বা ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে আধা চা চামচ দিনে তিনবার খান।