নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মুখোশধারীরা কলঙ্কের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় এমপি ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান।

তিনি বলেছেন, ওই মুখোশধারীরা ইমানদারির সঙ্গেই বেইমানি করে আওয়ামী লীগের তথা জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার প্যানেলকে হারানোর জন্য একটা পাল্টা প্যানেল দাঁড় করেছিল। এই বেইমানরা এখন চেষ্টা করবে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রথমবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্যানেল অর্থাৎ জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার প্যানেলকে হারানোর জন্য একটা পাল্টা প্যানেল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে কারণ অনেকেই আমাদের দলে যুগে যুগে খন্দকার মোশতাক হয়ে আসে, মোশতাকরা ছিল আছে এবং থাকবে।

সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে শামীম ওসমান এমপি এসব কথা বলেন।

গত ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্যানেলের বিরুদ্ধে বিএনপিপন্থি প্যানেল ছাড়াও আওয়ামী লীগের একটি বিদ্রোহী প্যানেলও অংশ নিয়েছিল।

এদিকে আইনজীবী নেতাদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান এমপি বলেন, যারা ইমানদারির সঙ্গে বেইমানি করেছে তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। বিএনপি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তারা প্যানেল দিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নিজেদের ভেতরে যারা বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল বা চাইছে তারা চেষ্টা করবে বিভেদ তৈরি করার। এটা যেন কোনো অবস্থাতেই না হয়। আপনারা এই জায়গাটায় খেয়াল রাখবেন।

তিনি আরও বলেন, যারা আগের প্যানেলে নির্বাচিত হয়েছিল সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিসন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবসহ তারা ভালো কাজ করেছেন বলেই আমরা রেজাল্ট পেয়েছি। আমাদের খোকন সাহা, মাসুদ ভাই, শামসুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ সবাই যারা এ টিমটা সাজিয়েছেন তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। যারা নবনির্বাচিত তাদের প্রতি অনুরোধ কোনো সিদ্ধান্ত যেন এমন না হয় যে- এটা আমাদের কমিটি আমরাই সিদ্ধান্ত নেব। যারা নির্বাচন পরিচালনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে পরিচালনা করবেন এসব নেতার সঙ্গে আলোচনা করেই সব প্রোগ্রাম নেওয়া দরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আমীন রনিসহ নবনির্বাচিতরা।