ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খান। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ফ্ল্যাট বাসার একটি কক্ষে তার মরদেহ যেখানে পড়ে ছিল, তার পাশেই কম্পিউটারে টাইপ করা একটি নোট পেয়েছে পুলিশ। এছাড়া দরজার সামনে লাগানো ছিল আরেকটি নোট। সেগুলো আলামত হিসেবে সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ শেষে এসব কথা জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার।

তিনি বলেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে টাইপ করা সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি। এছাড়া দরজার সামনে লেখা ছিল ‘মামা দরজা খোলা হাতলের হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে ভিতরে ঢুক’।

রুমানা আক্তার আরও বলেন, সুইসাইড নোটগুলো ধানমন্ডি ক্রাইম টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সিআইডির কাছে রয়েছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কে নিজ ফ্ল্যাটে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন আবু মহসিন খান। এ খবর দ্রুতই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে, রিয়াজের শ্বশুরের এ আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের একজন সদস্য বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মাসুম।

তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের একজন সদস্য ঘটনার পর বুধবার ভোরে বাদী হয়ে মামলাটি করেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। এখনো পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর হয়নি। এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করার আগে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন আবু মহসিন খান। এসময় তিনি জীবনের নানা হতাশা ও দুঃখের কথা তুলে ধরেন। কিছু সময় কথা বলার পরই নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন তিনি। ওই বাসায় চেয়ারেই পড়ে ছিল তার নিথর দেহ।