আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ফেনী-২ আসন থেকে ৩ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন ‘চিরকুমার’। কলেজ জীবনে প্রেমিকা বিজুকে হারিয়ে তার বিরহে আর বিয়ে করেননি বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
একটি টিভি অনুষ্ঠানে নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি আর বিজু একই সঙ্গে পড়তাম। আমি যখন কলেজের ছাত্র ছিলাম তখন বিজুও কলেজের ছাত্রী ছিলো। আমি গান লিখতাম এবং বিজু গান গাইতো।সে খুব ভাল গান গাইতে পারত। এভাবেই প্রথমে আমাদের দুজনের পরিচয় হয়। পরে আমাদের ভালোবাসা হয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য আমি যখন যুদ্ধে চলে যাই তখন তারা সোনাগাজী এলাকায় আত্মগোপন করেন।
পরে একজন রাজাকার তাকে জোর করে বিয়ে করেছিলো বলে জানতে পারি। বিজুর সঙ্গে কথা হয়েছিলো আমরা কেউ কাউকে ছাড়া বিয়ে করবো না। তবে যুদ্ধের সময়ে আমি সংবাদ পেয়েছিলাম তার বিয়ে হয়ে গেছে। চাইলে জোর করে এনে আবারো বিয়ে করতে পারতাম। কিন্তু তা আমি করিনি। বিজু আমাকে যে ওয়াদা করেছিলো তা ভেঙ্গেছে। এরপরে কখনো বিয়ে বা কোন নারী নিয়ে চিন্তাই করিনি।
জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফেনী-২ (সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে ১৯৯৬ সালের পর তিনি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন।
২০০৪ সালের এপ্রিলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে অবশ্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে আবারও তাকে দলে জায়গা দেয়া হয়। তাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যের পদ দেয়া হয়।