উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে ত্রি-হুইলার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে অবশেষে অভিযান শুরু করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ।
সোমবার সংবাদ প্রকাশের পর খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ এ অভিযানে নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থেকে বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী কালামোড়া সেতু পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার এলাকা খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অধীনে। এই মহাসড়কে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে থ্রি-হুইলার সিএনজি চালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এরমধ্যে অধিকাংশই রেজিস্ট্রেশন বিহীন। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
এনিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের পরপরই খাঁটিহাতা থানা পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
মঙ্গলবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে ৪০টি অটোরিকশা আটক করে। এরমধ্যে ২২টি সিএনজি চালিত ও ১৮টি ব্যাটারিচালিত। এসব যানের বিরুদ্ধে একদিনে ২৭টি মামলা দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এর আগের দিন সোমবার মহাসড়ক থেকে ১৫টি অটোরিকশা আটক করে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
অভিযানের বিষয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাস কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের চালক আবু সালেহ বলেন, মহাসড়কে সিএনজির কারণে আমাদের বাস চালাতে সমস্যা হয়। ফলে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আজ দেখলাম পুলিশ অটোরিকশা ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। আগেও এমন অভিযান দেখেছি। কিন্তু কয়েকদিন গেলেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। নিয়মিত অভিযান চালালে মহাসড়কে এসব অটোরিকশা চলাচল করতে সাহস পেত না।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল আলম জানান, হাইওয়েতে অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত আছে। মহাসড়কে কোনো অবস্থাতেই অটোরিকশা চলতে দেওয়া হবে না।