তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে শৈত্যপ্রবাহের আওতা কমেছে। সোমবার দেশে ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তা কমে তিনটি এলাকায় এসেছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে কন কনে বাতাসে প্রায় সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ। মঙ্গলবার সেখানে যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

সোমবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস,ঢাকায় ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক  বলেন, ‘সকাল ৬টায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শৈত্যপ্রবাহের আওতা কমেছে। যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

তিনি বলেন, ‘এখন তাপমাত্রা দু-দিন বাড়বে, আবার হয়তো কমবে। এভাবেই যাবে।’

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) সিলেটের দিকে (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) হালকা বৃষ্টি হতে পারে।’

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি ছিল বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।