স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহের রোববার বা সোমবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন, এ বিষয়ে বিএনপি ‘কিছু জানে না’ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানন।

রাষ্ট্রপতির এ সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে কি না, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জানি না’।

সংলাপে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলে বিএনপি যাবে কি না, এ প্রশ্নেও বিএনপি মহাসচিবের উত্তর ছিল, ‘জানি না’।

বিএনপি আদৌ সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু জানি না’।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৯ বা ২০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া ইসি গঠনের আলোচনায় প্রথম দিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতারা বসবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩১টি দলের সাথেই আলোচনা হবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংলাপ শেষ করার প্রস্তুতি রয়েছে। এ জন্য একদিনে একাধিক দলের সাথে বৈঠক হতে পারে এবং এটা নিয়ে কাজ করছে বঙ্গভবন।

সংলাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। গত কয়েক মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। সিইসি ও অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির।