কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  এ মাস থেকেই নির্দিষ্ট বয়সি ও পেশার লোকদের এই টিকা দেওয়া হবে।  সোমবার মন্ত্রিসভা শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, সম্মুখসারির (ফ্রন্টলাইনার) করোনা যোদ্ধাদের এখন বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করা সরকারি তথ্যভান্ডার সুরক্ষা অ্যাপসে বুস্টার ডোজ নিয়ে কিছু আপডেট করতে হবে।  আশা করা হচ্ছে, এ মাসেই এই কাজ শুরু করা যাবে।

টিকার কোনো অসুবিধা হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১১ কোটি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।  এ মাসে আরও দেড় থেকে দুই কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। হাতে আছে প্রায় চার কোটি টিকা। আজকেও যুক্তরাজ্য থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।

করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের বিষয়ে জাহিদ মালেক জানান, যে দুজনের শরীরে অমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল, তারা এখন ভালো আছেন।  তৃতীয় কোনো ব্যক্তির শরীরে অমিক্রন শনাক্ত হয়নি।

শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রম জোরদারে প্রধানমন্ত্রী তাগিদ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাহিদ মালেক।  তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুলের ছাত্রদের টিকার অগ্রগতি নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমি বলেছি, সেখানে আমরা তেমন অগ্রগতি দেখাতে পারিনি।  কারণ স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দিতে হচ্ছে।  দেশের সব কর্নারে তো সেভাবে কোল্ড চেইন নেই।  কাজেই যে কয়েকটি জায়গায় আছে, সেখানেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।  এটা যাতে আরও বাড়ে, গতি যেন আনতে পারি, সে জন্য আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।  এক হাজার বুথ আমরা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছি।  আড়াই হাজার বুথ, যেটা আছে, তার সঙ্গে আরও এক হাজার যোগ হলে আমরা মনে করি, টিকা কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।