বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা জানিয়েছেন।
ড. মোমেন বলেন, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দুঃখজনক। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি নিজেও সারপ্রাইজ্ড।
এর আগে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) এবং বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদও রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব দফতর)। এর মধ্যে র্যাব ও এর ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে, দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের আরেক বিবৃতিতে বেনজীরের পাশাপাশি অপর এক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন রাজস্ব দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বেনজীর আহমেদ ছাড়াও রয়েছেন- র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান।