জোড়াশিশু লাবিবা ও লামিসাকে পৃথক করতে অস্ত্রোপচার করা হবে আগামী সোমবার (১৩ ডিসেম্বর)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আশরাফ উল হক কাজলের নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার করা হবে। এতে সাতটি বিভাগের ৩০ থেকে ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. আশরাফ উল হক কাজল বলেন, জোড়া লাগা শিশুকন্যা দুটির হাত-পা-মাথা ঠিক আছে, তবে কোমরের নিচের অংশে জোড়া লাগা রয়েছে। তাদের পায়ুপথ ও মেরুদণ্ড জোড়া রয়েছে। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হবে। এজন্য যে যে বিভাগের চিকিৎসক দরকার তাদের সবাইকে নিয়েই এই অস্ত্রোপচার করা হবে।

তিনি বলেন, এ অস্ত্রোপচার খুবই ব্যয়বহুল। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে এতো টাকা ব্যয় করা সম্ভব না। তাই আমাদের চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সমাজসেবার পক্ষ থেকে সব ব্যয় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় শিশুদের বাবা একজন নির্মাণশ্রমিক, তাই তাদের প্রয়োজনীয় সব খরচ দেওয়া হচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. আশরাফ উল হক কাজল আরও বলেন, আমরা আশাবাদী সবার সহযোগিতায় সফল হতে পারবো। এটা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, শিশু বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হানিফ (টাবলু), পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আইয়ুব আলী সরকার, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক বিধান সরকার, বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ সার্জন, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আশরাফুল আলম প্রমুখ।

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপাড়া গ্রামের নির্মাণশ্রমিক মো. লালমিয়া ও মনুফা আক্তার দম্পতির সন্তান জোড়া লাগা এই দুই শিশুকন্যা। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করে তারা। জন্মের নয়দিন পর ঢামেক হাসপাতালে শিশু দুটিকে নিয়ে আসছিল তাদের পরিবার। এরপর থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসা চলছিল শিশু দুটির। গত ২৮ নভেম্বর ঢামেকের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয় জোড়াশিশুদের। সেই থেকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে আড়াই বছরের লাবিবা ও লামিসা।