নারীবিদ্বেষী অসৌজন্যমূলক বক্তব্য ও ফোনালাপে অশালীন কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এরপর তিনি বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ডা. মুরাদ বিদেশে যাবেন না দেশে থাকবেন, সেটা তার ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান।
মুরাদ হাসান বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো আমার জানা নেই। উনি (ডা. মুরাদ) বিদেশে যাবেন না দেশে থাকবেন, এটা উনার ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।
সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারে অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এরপরই প্রতিমন্ত্রী মুরাদের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে।
এরপর সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, ‘সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং তিনি তাকে আগামীকালের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমি আজ রাত ৮টায় তাকে বার্তাটি পৌঁছে দিই।’
পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মুরাদ হাসানের পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর ওই দিনই রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তবে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ পাওয়া ডা. মুরাদ হাসান দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কানাডা যেতে বিমানের একটি টিকিট সংগ্রহ করেছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।