শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে অনেকেই ডিটক্স ওয়াটার খান। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিটক্সিফিকেশন। শরীর ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে এটি খুবই জরুরি।

বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে শরীর ডিটক্সিফাই করা যায়। তেমনই এ বি সি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ডিটক্স পানীয়। এ তে- আপেল, বি তে- বিটরুট ও সি তে- ক্যারট বা গাজর।

এই তিন উপাদানে তৈরি এক বিশেষ পানীয় শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। ফলে শরীরে জমে থাকা সব দূষিত পদার্থ সহজেই বের হয়ে যায়। এতে শারীরিক নানা সমস্যার প্রকোপ কমে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কাজ করে এই বিশেস পানীয়-

আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ফাইবার। এসব উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রোগ ব্যধি থেকে দূরে থাকা যায়, এ কথা সবারই জানা।

এতে আরও আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আপেলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় শরীরের কোষগুলো থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সহজেই বের হয়ে যায়।

অন্যদিকে বিটরুট হৃদযন্ত্রের সমস্যা থেকে বাঁচায়। এতে থাকে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন পুষ্টিগুণ।

এ ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় বিট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়ায়। বিটে আছে বেটালাইন যা লিভার ভালো রাখে। এমনকি বিট অকাল বার্ধক্য ঠেকায়। এটি কোলেস্টরলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

শরীর ডিটক্স করার কাজে গাজরের ভূমিকা অনস্বীকারর্য। গাজরেও আছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এর মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। তবে গাজরে থাকে বিশেষ এক পুষ্টি উপাদান, বিটা ক্যারোটিন।

ক্যারোটিনকে শরীর ভিটামিনে রূপান্তরিত করে চোখের কার্যকারিতা বাড়ায়। একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে ভিটামিন এ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।

এজন্য শরীর থেকে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ বের করতে প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে আপেল, বিটরুট ও গাজরের মিশ্রণ বা ডিটক্স ওয়াটার পান করুন।

নিয়মিত এই বিশেষ পানীয় পান করার ফলে একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, অন্যদিকে ওজনও কমবে। আর শরীরও থাকবে সুস্থ।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস