সামান্য ক্ষুধা লাগলেই অনেকে কলা খান। হালকা ক্ষুধার বড় সমাধান এটি। কলা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী, একথা সবারই জানা। তবে কলা নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। অনেকেরই ধারণা, কলা খেলে ওজন বেড়ে যায়, আবার এই ফল খেলে ঠান্ডা লাগে ইত্যাদি।
যদিও কলায় ক্যালোরি বেশি থাকে। এ কারণে অনেকেই কলা এড়িয়ে যান। একটি কলায় থাকে প্রায় ১২১ ক্যালোরি। তবে মনে রাখবেন, কলায় ক্যালোরি যেমন বেশি ঠিক তেমনই এতে থাকে বিভিন্ন পুষ্টিগুণও বেশি। যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
কলা পটাসিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন সি’তে পরিপূর্ণ। এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি ফল। ভিটামিন, মিনারেলের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও পাওয়া যায় কলায়।
তবে কলায় পটসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় যারা রেনাল ফেলিওরে ভুগছেন কিংবা পটাসিয়ামে অসুবিধা আছে তাদের কলা না খাওয়াই ভাল। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে শরীরে কী ঘটে তা আগে জেনে নিন-
>> কলায় থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা অবশ্যই কলা খাবেন। তাহলে হৃদযন্ত্রও সুস্থ থাকে।
>> কলায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, ২৫ গ্রাম মতো ফাইবার খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। তাই কলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
>> নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে কলা। তাই প্রতিদিন কলা খেলে হার্ট যেমন ভালো থাকে, তেমনই ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
>> কলায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত কলা খেলে বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি শরীরের প্রতিদিনের ভিটামিন সি’র চাহিদাও পূরণ হবে।
>> আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অতিরিক্ত ওজন বা ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন কলা খাওয়া ভালো। কারণ কলার দাম বেশি নয়। কম খরচে এক ফলেই এতো ধরনের পুষ্টি হয়তো অন্য খাবারে মেলে না।
>> যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের পাকা কলা খাওয়া উচিত। এতে ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আবার পেট খারাপ হলে কাঁচকলা খেলে উপকার পাবেন।
কখন কলা খাবেন?
ভারি খাবারের সঙ্গে কলা খাবেন না। খাবার খাওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে কলা খাবেন। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এ সময়ের ব্যবধানে খেলে ফাইবার সহজেই শরীর গ্রহণ করতে পারবে।
অনেকে সরাসরি কলা খেতে পছন্দ করেন না। তারা কলার স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। আবার সকালের নাস্তায় কলা ও ওটসের স্মুদিও খেলে সারাদিন তরতাজা থাকবেন।
পেট ঠান্ডা রাখতে কলা ও সাবু মেখে খেয়ে নিন। যাদের অসুস্থতার কারণে তরল খাবার খেতে হচ্ছে তারা কলার স্মুদি অনায়াসেই খেতে পারেন।