তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার খবরে তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগসহ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমিন হোসাইন শিবলুর নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল আরামনগর বাজার ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মুরাদ হাসানের কুশপুতুল দাহ করে।

একই সময় পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুতের নেতৃত্বে শিমলা বাজার থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাস টার্মিনাল সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করে।

এদিকে ঘোষণাটি এলাকায় প্রচার হওয়ার পরপরই মুরাদ হাসানের কর্মী-সমর্থকরা গা ঢাকা দিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অজ্ঞাত লোকজন পটকা ফুটিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসাইন শিবলু  জানান, প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আজকের এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা। উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও মুরাদ হাসানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী যেভাবে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেছেন, তা সত্যিই লজ্জাজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই।

আনন্দ মিছিলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, মানুষের দীর্ঘদিনের এটি একটি অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ জানান, বিষয়টি বহুল আলোচিত, এটা নিয়ে আসলে আমার মন্তব্য করার কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটার প্রতি স্বাগত জানিয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলায় কিছু আনন্দ মিছিল পরিলক্ষিত হয়েছে, তাছাড়া আর কিছু না।

এর আগে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তথ্য তারাকান্দি শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করেন।