বাঙালির পাতে ভাত থাকলে পেটের ক্ষুধা যেন মেটে না। তাই তো বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি। তবে ভাত খেলে নাকি ওজন বেড়ে যায়, এই ভয়ে অনেকেই এখন পাতে ভাত রাখেন না। সত্যিই কি ভাত স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ?

সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকরের মতে, ভাতে অত্যধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। যা শরীরে অনেক পুষ্টি সরবরাহ করে। পরিমিত ভাত আপনার ওজন বাড়াবে না বরং শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। জেনে নিন যে ১০ কারণে ভাত পাতে রাখা জরুরি-

>> ভাত যেহেতু কার্বোহাইড্রেটের উৎস, তাই একে শক্তিঘরও বলা হয়। ভাত খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি আসে।

>> ভাতে আছে প্রিবায়োটিক। যা খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে। এমনকি অন্ত্রে থাকা জীবাণুও ধ্বংস হয়।

>> বাদামি চাল অর্থাৎ অপরিশোধিত চাল থেকে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ মেলে। তাই খাদ্যতালিকায় বাদামি চাল রাখুন।

>> রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে ভাত। যখন ভাতের সঙ্গে লেবু, ঘি ও মাংস খাওয়া হয় তখন রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।

>> ভাত সহজে হজম হয়। ফলে ভালোভাবে ঘুম হয়। যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

>> ত্বকও ভালো রাখে ভাত। এটি ত্বকের উচ্চ প্রোল্যাকটিন স্তরের কারণে হওয়া বর্ধিত ছিদ্র থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।

>> ভাত চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। থাইরয়েডের কারণে অনেকেরই চুল পড়ে যায়। এমন রোগীর ক্ষেত্রে ভাত খুবই উপকারী।

>> চালের প্রতিটি অংশই ব্যবহারযোগ্য। চাল দিয়ে ভাত, পায়েস, ক্ষীর ইত্যাদি তৈরি করা যায়। আবার চালের গুঁড়া দিয়ে বিভিন্ন পিঠাও তৈরি করে খেতে পারেন।

>> ভাত একটি হাইপোলোর্জিক খাবার। আবার যারা ভাত খেতে চান না তারা আটা, নুডলস, রুটি খেতে পারেন। এগুলো ভাতের বিকল্প।

>> চাল স্থানীয়, মৌসুমী ও খাদ্য ঐতিহ্যের অন্তর্গত। এটি স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, বাস্তুসংস্থান বজায় রাখে। চাল খাঁটি সোনার চেয়ে কম নয়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া