বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে, যেগুলোর লক্ষণ বা উপসর্গ শরীরে সহজে প্রকাশ পায় না। কিছু রোগ দীর্ঘদিন ধরে শরীরে বাসা বাঁধে ও বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে।

ফলে প্রাথমিক অবস্থায় শরীরে প্রায় তার কোনো লক্ষণই প্রকাশ পায় না। তবে শরীরের কোনো কোনো অংশ খুবই স্পর্শকাতর হয়।

ফলে সেসব স্থানে শরীরের বিভিন্ন ব্যাধির প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঠোঁট। জেনে নিন ঠোঁটের রং বদলে যাওয়া যেসব রোগের লক্ষণ-

>> ঠোঁটের রং গাঢ় লাল বা কালচে হয়ে যাওয়া হজমের সমস্যার লক্ষণ। সেক্ষেত্রে টকদই বা শাক সবজি খেতে পারেন। এতেও যদি ঠোঁটের রং স্বাভাবিক না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

>> ঠোঁটের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া মোটেও ভালো লক্ষণ হয়। এটি রক্তাল্পতার লক্ষণ। এক্ষেত্রে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক, বেদানা, শুকনো ফল ও রুটি খেতে পারেন।

>> হৃদ্যন্ত্র বা ফুসফুসের সমস্যারও ইঙ্গিত দেয় ঠোঁট। এক্ষেত্রে ঠোঁট অনেকটা সবুজ রং ধারণ করে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

>> ঠোঁটে কালো কালো ছোপ লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি হতে পারে পুষ্টির অভাবে। এ ছাড়াও মানসিক চাপে ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়ে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে এ সমস্যা কমতে পারে।

>> চীনা মেডিসিনের তথ্য মতে, ঠোঁটের চারপাশে বেগুনি রেখা শরীরের অ্যানার্জির ঘাটতির সঙ্কেত দেয়। এর অর্থ হলো আপনি পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন না।

>> ঠোঁটের রং গাঢ় লাল বা নীল হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার ও তরল খেতে হবে। অর্থাৎ আপনার শরীর ডিটক্সিফাই করা জরুরি। শরীরে বিষাক্ত উপাদান বেড়ে গেলে ঠোঁট গাঢ় লাল বা নীল হতে পারে।

>> শীতকালে ঠোঁট বেগুনি বা নীল রং ধারণ করে। এর অর্থ হতে পারে হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা। শরীরে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে কিংবা লিভারের সমস্যায় ঠোঁটের চারপাশে সবুজ রং ধারণ করে।

>> ঠোঁটের রং গোলাপি হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এর মানে হলো আপনার শরীরে বিশেষ কোনো সমস্যা নেই।