প্রথম বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী করোনা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ৯ নভেম্বর প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে করোনার নতুন এই ধরন। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য’ প্রস্তুত থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। খবর আল জাজিরার।

এদিকে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়ে সতর্ক করছে। কারণ এরই মধ্যেই বিভিন্ন দেশ করোনার বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে একজনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তিনি গত ২২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরেন। এর সাতদিন পরেই তার দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসরোধী ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার পরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেন।

এই শীতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন কৌশল নিয়ে কাজ করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভ্রমণকারীদের মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা এক ধাপ বাড়ানো হতে পারে।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য কঠোর পরীক্ষা নিরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া পরিকল্পনা করছে হোয়াইট হাউস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহামারি বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, ওমিক্রন কতটা সংক্রামক তা কয়েকদিনের মধ্যে হয়তো জানা সম্ভব হবে।

এদিকে, সম্প্রতি জার্মানির ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহপ্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ফাইজারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তারা করোনাভাইরাসের যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন তা ওমিক্রনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।