ভুঁড়ি তো বেড়েই চলছে। সময় থাকতে সামলান। এমনিভাবে ভুঁড়ি বড় হলে বিব্রত হতে হয়। ঘরে বাইরে সর্বত্র। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তো আছেই। না খেয়ে থাকলেন কত। কই ভুঁড়ি তো কমল না। আসলে ভুঁড়ি কমানোর কিছু সঠিক উপায় আছে। যেটা করতে পারলে ভুঁড়ি কমবে।
অন্যথা ইচ্ছামতো, ভুলভাল পথে কিছু করলে ভুঁড়ি তো কমবেই না। অসুস্থ হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। একদমই না খেয়ে নয়। খেয়েই ভুঁড়ি কমানো যায়। তবে সেটা পরিমিত এবং সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে। সব খাবার নয়। ফাস্ট ফুডকে না বলুন। ফাস্ট ফুড, কেকে আছে ট্রান্সফ্যাট। এগুলো শরীরে মেদের সৃষ্টি করে। তলপেটে মেদ জমা হয়। জানা গেছে ফরেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে। রাতের খাবার ভোর রাতে নয়। সন্ধ্যা রাতে খেতে হবে। রাত আটটার মধ্যে। খেয়েই বিছানায় গা এলানো যাবে না।
ভাজা পোড়া, উচ্চ তেলযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার একদমই বন্ধ নয়। অল্প করে খাওয়া যাবে। তবে ভাত নয়, লাল আটার রুটিকে প্রধান্য দিলে বেশি উপকার। ভাত খেতে বসলে আরও অনেক কিছু অটো খাওয়া হয়ে যায়। খেতে ইচ্ছা করে। তবে পাতলা রুটি খেলে এমন ইচ্ছা খুব একটা হবে না বৈকি। মেদ কমানোর জন্য ভালো উপায় ফাইবার ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বেছে নেওয়া। ডিম, শিম, মাছ, দুধ খেতে পারেন। বাদাম খেতে পারেন। বাদাম ক্ষুধা কমায়। আবার শসা খেলেও ক্ষুধা কমে। গ্রিন টি দিনে দু’কাপ খাওয়া যায়। গ্রিন টি মেদ কমাতে সাহায্য করে। আদা, লেবুর রস দিয়েও রং চা খাওয়া যায়। কাঁচামরিচ মেটাবলিজম বাড়ায়। ভাতের সঙ্গে একটি কাঁচামরিচ খেতে পারেন।
কাঁচা রসুন ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। সাগুদানা অ্যান্টি অ্যাক্সিডেন্ট সমৃদ্ব খাবার। ক্যালসিয়াম, লোহা, প্রচুর ফাইবার আছে। সাগুদানা বাথরুম ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর কিছু আগে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আর ইসবগুল দিয়ে পানি পান করতে পারেন। শাকসবজির কোনো বিকল্প নেই। এক বাটি পাঁচমিশালী সবজি খাবার তালিকায় রাখতে পারেন। কুচি কুচি করে নয়। আবার খুব জ্বাল দেওয়া নয়। অল্প জ্বালে বড় বড় করে কাটা সবজি খাওয়া উত্তম। অবশ্যই কম মসলা দিয়ে। এতে সবজির পুষ্টিমান অক্ষুণ্ন থাকে। আবার পুষ্টির জোগানও হয়। দারুচিনি মেটাবলিজম বাড়ায়। মেদ কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।