শীতকাল এলেই শিশুর প্রতি রাখতে হয় বাড়তি খেয়াল। ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বরসহ পেটে সমস্যার মতো নানা জটিলতা পোহাতে হয় শিশুকে নিয়ে। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো শিশুর চাই বাড়তি যত্ন-আত্তি। তাই শীত শুরুর প্রথম থেকেই শিশুর পোশাকে আনতে হবে পরিবর্তন।

সুতি-পাতলা কাপড়ের বদলে কিছুটা মোটা কাপড়ে অভ্যস্ত করতে হবে আপনার সন্তানকে। তবে এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে শিশু খুব বেশি মোটা কাপড় পরে না থাকে, এতে শিশুর ঘাম হয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘরে থাকা সময়ে শিশুকে সুতি জামার ওপর পাতলা সোয়েটার পরাতে পারেন। আর যখন শিশুকে নিয়ে বাইরে বের হবেন, তার সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন কানটুপি এবং মোজা। নানা ডিজাইনের এবং বাচ্চাদের পছন্দের কার্টুন চরিত্রের ছবি দিয়ে নানা ডিজাইনের সোয়েটার, জাম্পার, জ্যাকেট, কার্ডিগানসহ অনুষ্ঠানে যেতে রাতে আপনার শিশুকে সাজাতে পারেন ব্লেজার পরিয়ে। তবে এসব কিছুর পাশাপাশি শিশুর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আরামদায়কের বিষয়টি।

এ ক্ষেত্রে খুব বেশি খসখসে কিংবা শক্ত কাপড়ের তন্তু না হয়, তার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তাই শীতের উলের কাপড় বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নরম এবং আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রঙের ক্ষেত্রে শিশুদের লাল, কমলা, নীল, সবুজ, গোলাপি রঙের পোশাক নির্বাচন করে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে নীল, লাল, বাদামি রং নির্বাচন করতে পারেন, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে গোলাপি, সবুজ রং বেছে নিতে পারেন। অন্যদিকে শীত পোশাকের ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে যাতে সম্পূর্ণ হাত এবং গলা পর্যন্ত ঢাকা থাকে।

হাতা কাটা কিংবা হাফ হাতার সোয়েটার শীতে আপনার শিশুকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত করে ফেলতে পারে। উলের পোশাক খুব সহজেই এ ঋতুতে ময়লা হয়ে থাকে। তাই শিশুর পোশাকের ক্ষেত্রে শীতের এ সময়ে সকালে এবং বিকালে পোশাক পালটে দিন। শীত সামনে রেখে শিশুর জন্য বাড়তি পোশাক আলমিরাতে তুলে রাখুন। যাতে শীতের সময় জামা-কাপড় ময়লা হলেও আপনি পরিষ্কার করে নিতে পারেন সহজে। এ ছাড়া এ সময়ে শিশুকে যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন, যাতে শিশু শীতেও থাকে সুস্থ।