সারা দেশে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির গুঞ্জন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এগুলো কোথায় পান আপনারা? রেড অ্যালার্ট কোথায় পেলেন আপনারা? হোয়ার? এখানে সরকার কি কোনো বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে? আমি দেখিনি।’
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি পাল্টা এমন প্রশ্ন করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ গুজবগুলো.. কালকে (মঙ্গলবার) আপনাদেরকে বলছি, এর কোনো ভিত্তি নেই। আজকে এখনো কিছু গুজব ছড়াচ্ছে। আমার মনে হয় যে এটা অত্যন্ত কৌশলে কোনো মহল এই গুজবগুলো ছড়াচ্ছে অসৎ উদ্দেশ্যে।’
তবে কারা এই গুজব ছড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট করেননি ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের বিষয়ে আপনারা সরাসরি আমাকে ফোন করবেন, আমি আপনাদেরকে জানাব।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। বিএনপি থেকে প্রতিনিয়ত তার শারীরিক অবস্থার আপডেট জানানো হচ্ছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানারকম ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য প্রচার শুরু হয়।
এই গুজবকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া সতর্কতা অবলম্বন করে গতকাল রাত থেকেই। এ নিয়েও গুজব ছড়ানো হয়েছে। ফেসবুকজুড়ে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারির ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ যাতে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এজন্য পুলিশের সব ছুটি বাতিলও করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রও বলেছে, রেড অ্যালার্টের কোনো কারণ নেই। এটি বাড়তি সতর্কতা।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়েছে।