খাবারে অতিরিক্ত চর্বি থাকলে ওজন বেড়ে যায়। চর্বিযুক্ত খাবারে ক্যালোরি অনেক বেশি থাকে। এটি এক ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি করে। আবার শরীর ঠিক রাখার জন্য চর্বি একেবারের বাদ দেওয়াও ঠিক না। এ জন্য খাবারে চর্বির ভারসাম্য আনতে হবে।

চর্বিজাতীয় খাবারে ক্যালোরি অনেক বেশি থাকে। ১ গ্রাম চর্বি ভেঙে ৯.১ কিলোক্যালোরি শক্তি উৎপন্ন হয়।
খাবারে কতটুকু চর্বি থাকবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. তৌফিকুর রহমান ফারুক।
অধিক চর্বিযুক্ত খাবার ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তের চর্বির মাত্রা কিছুটা বাড়ায় ও রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বাড়িয়ে রক্তনালীতে চর্বির আস্তর বা প্ল্যাক তৈরি করে হৃদযন্ত্রের করোনারি ধমনীতে ও অন্যান্য রক্তনালীতে ব্লক করতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বা ওজন কমানোর জন্য ও হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য বা হৃদরোগ হলে কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের পাশাপাশি কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে।

খাবারে চর্বি জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমালে মোট ক্যালরির পরিমাণ কমবে।

মোট ক্যালরির শতকরা ১৫ ভাগের কম চর্বি জাতীয় খাবার থেকে আসলে সেটি কম চর্বিযুক্ত খাবার।

ন্যাশনাল একাডেমি অব প্রেসের তথ্যানুযায়ী অধিক চর্বিযুক্ত খাবারেও সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকতে পারে কারণ সব চর্বিতেই কিছু না কিছু সম্পৃক্ত চর্বি থাকে, তাই কোনো ব্যক্তি যদি মাত্র শতকরা ২০ ভাগ সম্পৃক্ত চর্বি যুক্ত খাবার খেয়ে থাকে তাহলেও তার মোট ক্যালরির শতকরা ৭ শতাংশ সম্পৃক্ত চর্বি থেকে আসবে, যদি তার মোট ক্যালোরির শতকরা ৩৫ ভাগ চর্বি থেকে আসে।

তাই দ্য ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন মোট ক্যালোরির ৩৫ ভাগের বেশি চর্বিযুক্ত খাবার থেকে অনুমোদন করে না। কম চর্বিযুক্ত খাবার হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য প্রচার করা হয়।

খাবারের মোট ক্যালোরির চর্বির মাত্রা শতকরা ৩৫-৪০ ভাগ থেকে কমিয়ে ১৫-২০ ভাগ করলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল যেমন এলডিএল ও টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা শতকরা ১০-২০ ভাগ কমে, সে ক্ষেত্রে খাবারে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ কমাতে হবে।

সম্পৃক্ত চর্বি বেশি খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। রক্তে এইচডিএল বেশি থাকলে তা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো ও হৃদরোগ প্রতিরোধক।

অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ, অলিভ তেল খেলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ে।