শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। শর্দি-কাশি থেকে অনেক সময় এই সমস্যা দেখা দেয়। আবার হাঁপানি ও অ্যাজমা থেকেও এই সমস্যা দেখা দেয়। শীতকালে হাঁপানি-অ্যাজমা রোগীদের অসুখ আরও প্রকট আকার ধারণ করে।
শ্বাসকষ্ট শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে না পারা, শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, রেসপিরাটরি ডিসট্রেস নামেও পরিচিত।
এই অনুভূতির কোনো শরীরবৃত্তীয় কারণ না থাকলেও শ্বাসকষ্টের কারণে একজন ব্যক্তির এমন অনুভূতি হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট কেন হয় ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টারের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
শ্বাসকষ্টের কারণ
* শর্দি লাগলে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়
* হাঁপানি বা অ্যালার্জি থাকলে
*শিশুদের যাদের অ্যাডনয়েড সমস্যা থাকে তাদের শ্বাসকষ্ট হয় শীতের সময়
* অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে
* সাইনোসাইটিস, হার্ট ফেইলিওর, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগ দেখা দিলে
* ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)। এছাড়াও বহুবিধ কারণে শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হতে পারে।
*জ্বরসহ বেশ কিছু শারীরিক রোগেও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর দহন বা মেটাবলিজম বেড়ে যাওয়ার জন্য নিশ্বাসের হার বেড়ে যায়। হাইপারভেন্টিলেশন সিন্ড্রোমের কারণটা যদিও খুব স্পষ্ট নয়, তবে এটার সঙ্গে উৎকণ্ঠা আর এক ধরনের ভয় পাওয়ার রোগের (প্যানিক ডিসঅর্ডারের) সম্পর্ক আছে। সেই অর্থে এটা মনের রোগ।
*ঘুমানোর জন্য বিছানায় শোয়ার পর কিছু ব্যক্তির শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
*নাকের সমস্যা ও অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে এমন হতে পারে।
করণীয়
* হাঁপানি থাকলে হাঁপানির চিকিৎসা করান।
* ধূমপান পরিহার করুন। পরোক্ষ ধূমপানও শ্বাসকষ্টের জন্য ক্ষতিকর।
* অ্যালার্জি থাকলে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন বস্তু (যেমন- ধুলাবালি) ও খাবার (যেমন- গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, বাদাম ইত্যাদি) এড়িয়ে চলুন।
* শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
* ঘর গোছানোর সময় বা বাইরে গেলে ডাস্ট মাস্ক পরে বের হবেন।
* বেশি পশমওয়ালা পালিত পশু রাখবেন না।
* ঘরবাড়ি সব সময় পরিষ্কার এবং ধুলামুক্ত রাখুন।
* পুরোনো ধুলাবালি ঘরে থাকলে পরিষ্কার রাখবেন
*যাদের অ্যাডনয়েড সমস্যা আছে তাদের এক ধরণের নাসাল স্প্রে আছে যা ব্যবহার করলে সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।