শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বিএনপি চেয়ারপারসনের হাসপাতালে যাওয়া আসার সময় নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৫ অক্টোবর তার ছোট একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তার বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়। এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়ার জন্য তা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়।

টানা প্রায় একমাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৭ নভেম্বর বিকেলে হাসপাতাল ছাড়েন খালেদা জিয়া। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান।

তখন দলীয় সূত্র জানিয়েছিল, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি কিছুটা সুস্থতা বোধ করায় তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছে।

তারও আগে গত এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নিতে খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।