প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঢেউ গত মাসেই আছড়ে পড়েছে রাশিয়ায়। এক মাসে দেশটিতে ৪৪ হাজার মানুষ মারা গেছেন। জার্মানির অবস্থাও সঙ্কটজনক। এক লাখ মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জার্মান সরকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, গোটা ইউরোপকেই ভুগতে হবে এই শীতে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন করে পাঁচ লাখ মৃত্যু হতে পারে এই মহাদেশে। খবর তাসের।

গত সপ্তাহে গোটা বিশ্বের মোট সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি ঘটেছে ইউরোপে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া ও রোমানিয়ায় নতুন করে সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট।

হু জানিয়েছে, ইউরোপে করোনায় মৃত্যু গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ঘটছে নেদারল্যান্ডসে। অথচ এ দেশে ৮৫ শতাংশ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নেদারল্যান্ডসে ১৬ হাজার ৩৬৪ জন্য সংক্রমিত হয়েছেন। যা মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। এ অবস্থায় নেদারল্যান্ডস সরকার তিন সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছে।

অতি-প্রয়োজনীয় নয়, এমন সব কিছু বন্ধ রাখা হবে। বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্ট বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।

অস্ট্রিয়া সরকার জানিয়েছে, যাদের টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। অস্ট্রিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে জার্মানি। জার্মানিতেও নতুন করোনা-বিধিতে জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়া না থাকলে পানশালা, রেস্তরাঁ বা কোনও বদ্ধ জায়গায় ঢোকা যাবে না।

নতুন সংক্রমণ ঢেউ থেকে বাঁচতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করছে নরওয়ে। যারা টিকা নেননি এখনও, তাদের সপ্তাহে দু’বার করোনা-পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নরওয়েতে ৮৭ শতাংশ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে।