আমাদের অনেকেরই কফি অনেক পছন্দের পানীয়। এটি শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কফির রয়েছে অনেক উপকারিতাও। তবে মনে রাখতে হবে— কফি খেতে হবে পরিমিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কফি পান করলে তা কোনো ক্ষতি করবে না।
শরীরকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি কফি চিন্তাশক্তি ও দক্ষতার উন্নতি ঘটায়। এ ছাড়া হতাশার ঝুঁকি ও ডিমেনশিয়া এবং পারকিনসন্সের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতেও উপকারী এটি।
আপনি ওজন কমাতে চাইলে কফি বিশেষভাবে আপনার উপকার করতে পারে। হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চার কাপ কফি পান করলে তা ৪ শতাংশ পর্যন্ত শরীরের চর্বি কমাতে পারে।
যেভাবে ওজন কমিয়ে শরীরকে ঝরঝরে করে তোলে কফি :
১. ব্ল্যাক কফিতে ক্যালরি
ব্ল্যাক কফিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচারের (ইউএসডিএ) মতে, এক কাপ নিয়মিত ব্ল্যাক কফিতে মাত্র ক্যালরির পরিমাণ থাকে মাত্র দুই। আর ব্ল্যাক এক্সপ্রেসোতে সেই ক্যালোরির পরিমাণ নেমে আপসে পারে এক এ। তাই এ পানীয়টি আপনাকে স্বতেজ করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে।
২. ব্ল্যাক কফির উপাদান
ব্ল্যাক কফিতে কোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি পদার্থ থাকে, যেটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ উপাদানটি রাতে খাবারের পরে শরীরে গ্লুকোজ তৈরি করতে বিলম্ব করে এবং নতুন ফ্যাট কোষের গঠন হ্রাস করে। ফোর্টিস হাসপাতালের ডা. সিমরান সাইনির মতে, কফিতে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে।
৩. ব্ল্যাক কফি ক্ষুধা কমায়
ব্ল্যাক কফি পান করলে তা হঠাৎ ক্ষুধা লাগাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ ছাড়া ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফেইন ক্যাফিন হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক, যা আমাদের মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় এবং মনোযোগী রাখতে সাহায্য করে। এটি আমাদের শক্তির স্তরের উন্নতিতেও সহায়তা করে।
৪. শরীরে ফ্যাট বার্ন করে
কফি বিন আমাদের শরীরের ফ্যাট বার্ন এনজাইম নিঃসরণ করে ও ফ্যাট বার্ন করে। এ ছাড়া এটি লিভারের জন্য প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবেও কাজ করে। এটি লিভারকে পরিষ্কার করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল ও অপ্রয়োজনীয় লিপিড দূর করে, যা আমাদের বিপাককে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
৫. শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে
ব্ল্যাক কফি শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে কোনো বিপজ্জনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করেই এটি ওজন কমাতে পারে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।