ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে ই-কমার্স ব্যবসায় প্রতারিত ভোক্তা অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটি।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতারিত গ্রাহকদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এ কথা জানান।

ই-কমার্সের টাকা ফেরত আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে টাকা চলে গেছে সেটার বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয় একাধিকবার বলেছেন। এখানে আমাদের একটা ম্যান্ডেড দেওয়া আছে। তার তিন নাম্বার বলা আছে- ওই অর্থ-সম্পদ রিকভারি করার পদ্ধতি নির্ধারণ। আমরা সেটা নির্ধারণ করে কেবিনেটে পাঠাবো। সেখানে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করা হবে কি না কেবিনেট ঠিক করবে। ইভ্যালিতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হাইকোর্ট থেকে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে সেভাবে যদি করা হয়, সেটাও হতে পারে। আমরা সুপারিশ কেবিনেটে পাঠাবো সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় আমরা আটটি সুপারিশ নির্ধারণ করেছি। এই সুপারিশগুলো আমরা কেবিনেটে পাঠাবো। পরে সেখান থেকে নির্দেশনা আসবে। সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা একটা রিকমেন্ডেশন দেবো। আর আমাদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতায় আনতেও আমরা প্রতিবেদন দেবো।

শফিকুজ্জামান বলেন, কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে বসে কেবিনেটে এই টোটাল প্রতিবেদন পাঠাবে। এটা পাঠানোর পরে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা বা ই-কমার্সকে কীভাবে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যায় সেটা হয়তো আমরা পলিসি মেকারদের থেকে পাবো। সেই অনুযায়ী কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি আছে, বিশেষ করে কিছু গোপন সংস্থা আছে। এছাড়া ই-ক্যাব ও ক্যাবের প্রতিনিধি আছেন। কীভাবে সেই বিষয়গুলো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা আমরা বসে সবার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী করবো।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ই-কমার্সে যে ঘটনা ঘটেছে অবশ্যই এটা একটা ড্যামেজ। ই-কমার্সকে আমরা সামনে নিয়ে যেতে চাই। সবাই মিলে ই-কমার্সকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ড্যামেজ হয়েছে সেটা রিপেয়ার করে কীভাবে সামনে এগিয়ে নিতে পারবো সেটাই মূল লক্ষ্য, কমিটি সেভাবেই কাজ করছে। আমরা এটা রিপোর্ট আকারে কেবিনেটে পাঠাবো। কেবিনেট থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেগুলো রেগুলেটরি অথরিটি ইমপ্লিমেন্ট করবে।

তিনি আরও বলেন, ই-কমার্সের নিবন্ধন নিয়ে এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। আগামী সপ্তাহে আবারও মিটিং করবো। নিবন্ধনের ফরমেটটাও হয়ে গেছে। আমরা সবকিছু নিবন্ধনের মধ্যে নিয়ে আসবো। অনলাইনে কীভাবে নিবন্ধন করা যায় সেটি নিয়েও কাজ করছি আমরা।