বাংলাদেশের করোনার টিকার সনদ অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।  আগামী সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে বাংলাদেশের করোনার টিকার সনদ দেশটিতে কার্যকর হবে।  এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের টিকা তালিকায় বাংলাদেশের নাম যুক্ত হলো।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সরকার তাদের দেশে বিদেশিদের ভ্রমণ হালনাগাদ–বিষয়ক তথ্যে বিষয়টি জানিয়েছে। সবশেষ সিদ্ধান্তানুযায়ী, ৩৭ দেশের টিকার সনদকে যুক্তরাজ্য অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে ১১ অক্টোবর থেকে দেশটিতে প্রবেশের পর ১০ দিন হোটেল কোয়ারেন্টিন বা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।

তবে দেশটিতে পৌঁছানোর দুদিন পর তাদের কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে।  এছাড়া ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে সব ভ্রমণকারীরই বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়বে।

তবে যেসব ভ্রমণকারী যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেননি তাদের অবশ্যই দশ দিনের হোটেল কিংবা বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।  এছাড়া দ্বিতীয় এবং অষ্টম দিনে তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।

যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের চারটি টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে—অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, ফাইজার-বায়োএনটেক ও জনসন অ্যান্ড জনসন।

যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত করোনার যে চারটি টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশে তিনটি দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো—অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও ফাইজার-বায়োএনটেক।

ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উষ্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন আর দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন এবং প্রয়োজনীয় ভ্রমণের বাধা নিরসনে হাই কমিশনের অব্যাহত চেষ্টার ফলাফল।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ সরকারের লাল তালিকা থেকে সরে যায় বাংলাদেশের নাম। গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোর চারটা থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।