বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন ও পতনের ভয়ে ভীত বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের পর্যুদস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর এবং তাদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। এ হামলা, নির্যাতন ও নিপীড়ন করে কোনো স্বৈরাচার সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান ফ্যাসিবাদী এ সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের আনন্দ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলায় বিএনপি নেতা মো. আইয়ুব খান, কসবা উপজেলা আহ্বায়ক মো. মাসুদুল হক দীপু, বিএনপি নেতা মো. নাজমুল হাসান, যুবদল নেতা মো. আলমগীর হোসেন, মো. এনামুল হক খান, মো. কামাল হোসেন, মো. ইউসুফ আহমেদ, আকাশ আলী, মো. তাজুল ইসলাম, মো. মামুন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, আকরাম, আল-মোবিন খন্দকার, ছাত্রদলনেতা ফরিদ উদ্দিন ভুইয়া, সোহেল মোল্লা, মো. রিপন পাঠান, মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ আহত হন।
‘এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্যায়ভাবে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ২ নং নদোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, সোনাইমুড়ি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন সানির বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ গুলি করে ও ককটেল ফাটিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও নেতাকর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশি হামলা ও তাণ্ডব আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চরিত্রের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। হামলা-মামলা-গ্রেফতার করে আন্দোলন থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরত রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি এ বর্বরোচিত পুলিশি হামলা ও গ্রেফতার এবং কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।