ভিটামিন ‘সি’র উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ইমিউনিটি বৃদ্ধি, ক্যান্সার রোধ করাসহ শরীরের বহু কাজ করে এই ভিটামিন।
অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত এ ভিটামিন ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময় করে তোলে।  যার কারণে ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানে এটি টনিকের মতো কাজ করে।

প্রধানত ফল ও কাঁচা সবজি হচ্ছে ভিটামিন সি’র মূল উৎস।  কিছু ফল ও শাকসবজি যেমন- লেবু, কমলা, পেয়ারা, ব্রকোলি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে।  তাই ভিটামিন সি পেতে এগুলো খাওয়া যেতে পারে।  আর এগুলো থেকে পরিপূর্ণ ভিটামিন পেতে হলে এগুলো কাঁচা অবস্থায় খাওয়া বেশি ভালো।

ভিটামিন-সি’তে বেশি পরিমানে অ্যাসিড থাকার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো সমস্যা নিরাময়ে উপকারী।  এ কারণে এটি কোলাজেন এবং এলাস্টিনের উৎপাদন দ্রুত করতে পারে।  এ উপাদান দুটি ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে ও ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে।  এছাড়া খুব অল্প সময়ে এটি ক্ষতস্থান নিরাময় করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সহ আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে এ ভিটামিনে।

১. ত্বকে রিঙ্কেলস এবং ফাইন লাইনস প্রতিরোধ করে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা, কুঁচকানো চামড়া সহ বিভিন্ন বয়সজনিত দাগ-ছোপের দেখা মেলে। এগুলো চেহারার সৌন্দর্যকে নষ্ট করে ফেলে।  তবে এ সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে ভিটামিন-সি।  এ ভিটামিনটি দেহের কোলাজেন সংশ্লেষণ বাড়িয়ে ত্বকের বার্ধক্য জনিত লক্ষণগুলো অনেকটা কমায়।  আর এর কারণে ত্বক হয়ে উঠে আরও উজ্জল, মসৃণ ও সুন্দর।

২) সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রাখে সুরক্ষিত
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এর কাণে ত্বক লালচে হয়, টান পড়ে ও রুক্ষ্ম হয়ে যায়। ভিটামিন-সি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।  ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই একসঙ্গে ব্যবহার করলে পাওয়া যায় আরও বেশি উপকারিতা।

৩) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে
ত্বকের শুষ্কভাব কমাতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে ভিটামিন-সি এর উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার।

৪) ক্ষত নিরাময়ে ভিটামিন সি

এ ভিটামিনে অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড থাকার কারণে এটি কোলাজেন গঠন সক্রিয় করে তুলতে পারে এবং দ্রুত ক্ষতস্থান নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।  তবে, এটি খাওয়ার চেয়ে ক্ষত স্থানে প্রয়োগ করে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।  এক্ষেত্রেও ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই একসঙ্গে ব্যবহার করলে ক্ষত স্থান নিরাময়ে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

৫) ডার্ক পিগমেন্টেশন কমায়
ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতে ভিটামিন সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ত্বকে ভিটামিন সি প্রয়োগ করে কালো দাগ দুর করা যায়।

৬) ত্বকের প্রদাহ হ্রাস করে

এ ভিটামিনে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি রয়েছে।  যার কারণে এটি ত্বকের লালচে ভাব, ব়্যাশ, জ্বালা-ব্যথা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।