দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় সিআইডির রংপুর কার্যালয়ের এএসপিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন— সিআইডির রংপুর কার্যালয়ের এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।
রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর রহমান বলেন, তবে আটকদের মধ্যে একজন এএসপি, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল থাকার কথা শুনেছি। তারা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে যান। সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে এবং অনুমতি ছাড়া তারা ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে অপারেশনে যান। আটকের পর আমাকে জানানো হয়েছে।
অফিসিয়াল অনুমতি ছাড়া ছুটিতে থাকা দুজন কনস্টেবলকে নিয়ে কোথায় কে কি করেছেন এ দায়িত্ব আমরা অফিসিয়ালি নেব না। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় এখনই বিস্তারিত বলা যাবে না। বিস্তারিত জানতে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানান তিনি।
জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার পলাশ নামের এক ব্যক্তি রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে একই উপজেলার জনৈক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযাগ করেন। পরে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম চিরিরবন্দর উপজলার লুৎফর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়।
লুৎফরের ভাগ্নে শামসুল আলম মানিক জানান, সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় চিরিরবন্দরে গিয়ে তার মামার বাড়িতে অভিযান চালায়। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তারা।
মানিক আরও জানান, লুৎফর রহমানকে ফোন করে তার স্ত্রী-সন্তানের মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে তারা সাড়ে আট লাখ টাকা নিতে মঙ্গলবার বিকালে সিআইডি কর্মকর্তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাটে আসতে বলেন লুৎফর।
এর আগেই বিষয়টি তিনি চিরিরবন্দর থানাপুলিশকে জানিয়ে রাখেন। এর পর সেখান থেকে জেলা পুলিশ ও সিআইডির সহযোগিতায় তাদের আটক করা হয়।