শরতের এই সময়ে এক পশলা বৃষ্টি গ্রীষ্মের দুপুরে নগর জীবনে নিয়ে আসে প্রশান্তির ছোঁয়া। গাছে গাছে নতুন পাতা আর ফুলের মেলায় রঙের ছোঁয়া লাগে বৃষ্টির দিনে। তবে বৃষ্টির এসব কিছুর সঙ্গে পায়ের ত্বকে চোখে পড়ে রুক্ষতা। অন্যদিকে বৃষ্টিতে পা ভেজার কারণেও পায়ের চামড়ায় ইনফেকশন কিংবা আঙুলের ভাঁজে ক্ষত স্থানের সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দিন বৃষ্টি আর স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণেও পায়ের ত্বক মলিন হয়ে যেতে পারে, সঙ্গে পায়ের চামড়া রুক্ষ কিংবা র‌্যাশের সৃষ্টি হতে পারে। তাই শরতের এ সময়ে পায়ের যত্ন অনেক বেশি জরুরি। পায়ের যত্ন-আত্তির ক্ষেত্রে কীভাবে ঘরে বসে হাতের কাছের সরঞ্জাম ব্যবহার করে পায়ের ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারবেন তাই জানিয়েছেন আয়ুর্বেদিক স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন মৌসুমী।

পায়ের যত্নের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই উদাসীন হয়ে থাকি। পায়ের আলাদাভাবেও যে যত্নের প্রয়োজন তার দিকে আমাদের খেয়াল খুব কম থাকে। কিন্তু আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতোই পায়ের যত্নও আবশ্যক। তাই ঋতুভেদে পায়ের যত্ন সবার আগে প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অনেকেরই পায়ের নখের কোনা ভেঙে যাওয়া কিংবা পায়ের চামড়া উঠে যাওয়ার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে একদিন পর পর এক গামলা কুসুম গরম পানিতে যাতে আপনি আপনার পা সম্পূর্ণ ডুবিয়ে রাখতে পারবেন এমন পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে লবণ, ভিনেগার, শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ব্রাশের সাহায্য ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে পায়ে জমে থাকা ময়লা খুব সহজে উঠে যাবে। অন্যদিকে পা পরিষ্কারের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে এন্টিসেপ্টিক ক্রিম ভালো করে মিক্স করে লাগাতে হবে যাতে পায়ের কোনো অংশ বাদ না পড়ে। এতে আঙুলের ফাঁকে থাকা ক্ষত স্থান থাকলে, চামড়া উঠে গেলে দ্রুত সেরে উঠবে। অন্যদিকে পায়ে প্রায়শই কালো কালো দাগ চোখে পড়ে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে এক দিন পায়ে ভালো করে ভ্যাসলিন মাখিয়ে পা কুসুম গরম পানিতে লবণ, ভিনেগার দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ব্রাশ করে নিলে পায়ের চামড়া বেশ নরম হয়। পাশাপাশি ঘরোয়া প্যাকের মাধ্যমেও পায়ের যত্ন নেওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্যাক বানাতে প্রয়োজন এক কাপ ময়দা, এক কাপ ভিনেগার, এক কাপ বেসন সঙ্গে একটু হলুদ আর কিছুটা মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে পায়ে এপ্লাই করলে পায়ের ত্বক যেমন উজ্জ্বল হবে তেমনি মরে যাওয়া চামড়া, কালো দাগ দূর হবে সহজেই।