চুয়াডাঙ্গায় গরুর গোবর ও চুনা ফেলা কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আপন হোসেন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন তার বাবা মোতালেব হোসেন (৪৫)।

রোববার রাতে সদর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত বাবা মোতালেবকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী অভিযুক্ত খুনি আবুল কালামকে ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিহত আপন হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার সাদেক আলী জানান, ফুলবাড়ী গ্রামের কৃষক মোতালেব হোসেনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল।

রানাত আলীর ছেলে আবুল কালাম প্রতিদিন গরুর গোবর ও চুনা ফেলে রাখে মোতালেবের বাড়ি ঢোকার রাস্তায়। এতে মোতালেবের ছেলে আপন হোসেনের ইজিবাইকে ময়লা লেগে যায়। আপন এর প্রতিবাদ করেন এবং পরবর্তীতে রাস্তার ওপর এসব না ফেলার জন্য বলেন।

এ নিয়ে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আবুল কালাম ও তার পরিবারের লোকজন আপনকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

এ সময় ছেলে আপনকে রক্ষা করতে এগিয়ে বাবা মোতালেব হোসেন। তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে আবুল কালাম।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আপন মারা যান।

উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবা মোতালেবকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

গ্রামবাসী জানান, এ ঘটনায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের এসআই তাইফুজ্জামান অভিযুক্ত আবুল কালামকে গ্রেফতার করেন।

নিহত আপন বছরখানেক আগে বিয়ে করেন এবং তার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবুল কালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ধারালো হাঁসুয়া। ওই ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।