রাজশাহীর বাঘায় গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে অধিকাংশ জমির মরিচ মরে যাচ্ছে। তাই কাঁচামরিচের দাম নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

রোববার বাঘার আড়ানী হাটে গিয়ে এমনটি দেখা গেছে।

মরিচচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় মরিচ চাষ ভালো হয়নি। চাষিরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। ইতিপূর্বে অধিকাংশ মরিচগাছের গোড়া পচে মরে যাচ্ছে। দাম বেশি হলেও খরচের টাকা উঠছে না।

শনিবার আড়ানী হাটে প্রতিমণ কাঁচামরিচ বিক্রি হয় সাড়ে ৭ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকায়। দাম বেশি হলেও এলাকায় মরিচ তুলনামূলক কম। এবার চাষিরা আশায় ছিল ভালো ফলন হবে। কিন্তু সে আশা আর পূরণ হচ্ছে না।

গত মৌসুমে প্রতিদিন আড়ানী বাজারের তালতলা মোড়ে ৮০০ মণ থেকে এক হাজার মণ মরিচ আমদানি হতো। এবার তা নেই।

এ বিষয়ে আড়ানী হাটে সবজি ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, বর্তমানে এ এলাকায় মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তাহেরপুর, শিবপুর, ঝলমলিয়াসহ বিভিন্ন হাট থেকে মরিচ কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, পদ্মা নদীর শাখা বড়াল নদীর ধারে হওয়ায় মরিচ আবাদ ভালো হয়। মরিচে ছত্রাক জনিত কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় ১১৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।