‘আমার জীবনটা এখন হাহাকারে ভরা। আমি কিভাবে বাঁচব। আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন চায়না আক্তার। তার বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের পূর্বদাগী গ্রামে। সেখানে পূর্বশত্রুতার জেরে ২৬ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে প্রকাশ্যে তার স্বামী কৃষক জাহাঙ্গীর আলমকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুধু তাই নয়, হত্যার পর জাহাঙ্গীরের লাশ কেটে মাংস খাওয়ানো হয় কুকুরকে। তারা এখন মামলা তুলে নিতে বাদী চায়নাকে চাপ দিচ্ছেন। তাকেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
চায়নার অভিযোগ, তার স্বামীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা কারাগারে আছে। তিনি বলেন, তাকে মামলা তুলে নিতে নানামুখী চাপ দেওয়া হচ্ছে। স্বামীকে হারিয়ে চায়না দুই শিশু সন্তান আব্দুর রহমান (১২) ও রকিবকে (৭) নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে চায়না আক্তার ও তার দুই শিশু সন্তান উপস্থিত ছিল।