মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্বব্যাপী মাতৃদুগ্ধ দিবস পালিত হয়। ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডাব্লিউবিটিআই) কর্তৃক এ বছর বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য—‘প্রটেক্ট ব্রেস্টফিডিং, এ শেয়ারড রেসপনসিবিলিটি।’

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের বুকের দুধ নবজাতকের জন্য আদর্শ পুষ্টিকর খাবার। এতে সংক্রামক ব্যাধির আক্রমণ অনেক কমে যায়। মাতৃদুগ্ধ পানকারী শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটে পরিপূর্ণভাবে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুরা বুকের দুধ খায় তারা বিশেষ করে অ্যালার্জি, পেটের সমস্যা এবং কানে সংক্রমণের মতো সমস্যায় কম পড়ে।

অন্যদিকে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের কিছু ধরনের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। জেনে নিন মায়ের বুকের দুধ শিশুকে যেসব রোগ থেকে বাঁচায়- 

>> মায়ের দুধ সরাসরি পান করার মধ্য দিয়ে শিশুর ফুসফুসও শক্তিশালী হয়৷

>> মায়ের বুকের দুধে নবজাতক শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণই থাকে, যাতে একটি শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে৷ এ কথা জানা যায় সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে৷

>> কানাডিয়ান এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে, মায়ের দুধ পান করলে শিশুর অ্যাজমার ঝুঁকি কমে শতকরা ৪০ ভাগ।

>> একটি শিশু প্রতি মাসে যত দিন যতটুকু দুধই পান করুক না কেন, তার প্রতি ফোঁটাই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

এ ছাড়াও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের শরীরেরও অনেক উপকার ঘটে। জেনে নিন সেগুলো-  

শিশুকে স্তন পান করানো প্রসব পরবর্তী জটিলতা থেকে মায়ের শারীরকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

>> বুকের দুধ খাওয়ানো গর্ভকালীন ধকল থেকে মায়ের জরায়ুকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।

>> বুকের দুধ খাওয়ানো প্রসব পরবর্তী রক্তপাতকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে।

>> ঋতুস্রাবের চক্রকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

>> বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের সঙ্গে শিশুর মানসিক সংযুক্তি বাড়ায়।

>> মায়ের মধ্যে ইতিবাচক বোধ তৈরি করে।

>> বুকের দুধ খাওয়ানো স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

>> বুকের দুধ খাওয়ানো প্রসব পরবর্তী সময়ে মায়ের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

সূত্র: বিবিসি/ টাইমস অব ইন্ডিয়া