বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড-বিআইএফসিতে, প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটি। জালিয়াতিতে জড়িত থাকার সন্দেহে বিআইএফসির সাবেক এমডি মাহমুদ মালিক এবং তার স্ত্রী ও সাবেক পরিচালক হাফসা আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
হাফসা আলম পরিচালক থাকার সময় একই সঙ্গে সুকুজা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডির দায়িত্বও পালন করেন। আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির অনুসন্ধানে দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া গেছে।
এ দুর্নীতির সঙ্গে প্রথমে পিকে হালদারের নাম পাওয়া যায়। পরে অনুসন্ধানে উঠে আসে মাহমুদ মালিকের সম্পৃক্ততা।
বর্তমানে দেশে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১০টির আর্থিক অবস্থাই বেশ নাজুক। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) অন্যতম।
বিএফআইসি গত তিন বছর ধরে কোনো আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করছে না। এর আগে প্রকাশ করা আর্থিক বিবরণীতে ২০১৭ সালে লোকসান গুনেছে ৭০ কোটি টাকা, ২০১৬ সালে ৬৮ কোটি টাকা ও ২০১৫ সালে ৬২ কোটি টাকা লোকসান দেয়। সর্বশেষ বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই সময়ে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে আর কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।