লকডাউন শিথিল হওয়ায় চলছে গণপরিবহন। ভোগান্তি নিয়ে মহাসড়ক ও ফেরিঘাট দিয়ে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় শত শত পশুবাহী ট্রাক। যানবাহনের চাপ বাড়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব দিকে ১৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে যানজট। স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা চোখে পড়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। রাস্তার পাশজুড়ে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যানবাহনের সারি।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মার ভাঙনে ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লঞ্চ চলাচলে কিছু বিঘ্ন হচ্ছে।

এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে লঞ্চে অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করা হচ্ছে। কোরবানির পশুবোঝাই ট্রাকের কারণে বেড়েছে চাপ। অন্যদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণের চাপ বাড়ছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে। পারের অপেক্ষায় আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক।

মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটেও রয়েছে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ও পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ। চালকদের অভিযোগ, ফেরিতে পশুবাহী ট্রাক কম উঠিয়ে বেশির ভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে।

এদিকে, গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও বেড়েছে যানবাহনের চাপ। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী।

আর, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেড়েছে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে থাকছে যানজট।