মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ২৩০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪১৯ জনে।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৮৭৪ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে।

এর আগে শুক্রবার (৯ জুলাই) দেশে ২১২ জনের মৃত্যু হয়। ১০ জুলাই দেশে ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়। ৮ জুলাই করোনায় দেশে ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়। ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।

রোববার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৬১৩টি ল্যাবরেটরিতে ৩৯ হাজার ৮৬০টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪০ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭টি।

নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ হাজার ৩৬২ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন।

তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩৩ ও নারী ৯৭ জন। মৃত ২৩০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬৯, বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ এবং বাসায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়।

মৃত ২৩০ জনের মধ্যে বয়স হিসাবে বিশোর্ধ্ব ৭, ত্রিশোর্ধ্ব ১৯, চল্লিশোর্ধ্ব ৪২, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫১ এবং ষাটোর্ধ্ব ১১১ জন মারা যান।

বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকায় ৫৬, চট্টগ্রামে ৩৯, রাজশাহীতে ২৬, খুলনায় ৬৬, বরিশালে ৮, সিলেটে ৮, রংপুরে ২২ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।