৫ দশকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ভোটার তালিকায়ও উঠেছে এসব রোহিঙ্গাদের নাম। আবার এদের কেউ কেউ পাসপোর্ট বানিয়ে পাড়ি দিয়েছেন বিদেশেও। দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সামরিক জান্তার নির্যাতনে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সরকারি হিসেবে সবমিলে বিভিন্ন সময়ে দেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন এগারো লাখের বেশি।

কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নে ২ শতাধিক রোহিঙ্গা নিজেদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এমন অভিযোগ পেয়েই অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নির্বাচন কমিশনের কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫৬ হাজার ব্যক্তিকে অবৈধভাবে ভোটার বানানো হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা। এ ঘটনায় চলতি জুন পর্যন্ত কক্সবাজারের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রায় একশ’ জনকে আসামি করে ১৮টি মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন।

দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘আসামিদের মধ্যে পুলিশের বিশেষ শাখা, জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণও রয়েছে। ভুয়া পাসপোর্টের বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’