ডিজিটাল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

বৃহস্পতিবার(৮ জুলাই) দুদকের মানি লন্ডারিং ইউনিটের দুই সদস্যের একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। এর আগে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকসহ চারটি সরকারি সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

দুদকে আসা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ মার্চ তারিখে ইভ্যালি ডট কম এর মোট সম্পদ ৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। গ্রাহকের নিকট থেকে অগ্রিম হিসেবে গৃহীত ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের নিকট থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকার মালামাল গ্রহণের পর স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির নিকট ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির নিকট চলতি সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও প্রতীয়মান হয় যে, ইভ্যালি ডট কম এর চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বা অর্থ ফেরত দিতে পারবে। বাকি গ্রাহক এবং মার্চেন্ট এর পাওনা পরিশোধ করা উক্ত কোম্পানির পক্ষে সম্ভবপর নয়।

দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে।