একসময়ের বিশ্বসুন্দরী তিনি। বয়স ৪৭ এর কোঠায় পৌঁছালেও তার রূপের জেল্লায় কুপোকাত হন ভক্তরা। বিশ্বজোড়া খ্যাতি তার। মিস ওয়ার্ল্ড হিসেবে খ্যাতি পাওয়ার পরপরই বলিউডে নিজের যোগ্যতায় জায়গা করে নেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে। এরপর হলিউডেও কাজ করেন তিনি। বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্র্যান্ডের পরিচিত মুখ তিনি।
ঐশ্বরিয়ার রূপ নিয়ে অনেকেরই নানা জল্পনা-কল্পনা আছে। কেউ বলেন ৪৭ বছর বয়সেও কীভাবে তিনি সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন? নিশ্চয়ই প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন নায়িকা! ইত্যাদি। তবে সব ধোঁয়াশা উড়িয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি ত্বকে কোনো সার্জারি করেননি। খাদ্যাভাস ও প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চার মাধ্যমেই তিনি সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন।
ঐশ্বরিয়া প্রাকৃতিকভাবেই সুন্দর ত্বক নিয়ে জন্মেজেন। তার ত্বক যথেষ্ট উজ্জ্বল এবং দাগহীন। শুধু ত্বক নয়, তার চুলগুলোও খুব সুন্দর। নিজের সৌন্দর্যের বিষয়ে কখনো ছাড় দেন না ঐশ্বরিয়া। এজন্য খুব স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করেন তিনি।
বিশেষ করে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাবারের বিষয়ে খুবই মনোযোগী তিনি। ভাজা খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত খাবার, অ্যালকোহল এবং ধূমপান থেকে বরাবরই দূরে থাকেন এই নায়িকা। প্রচুর পরিমাণে ফল-মূল এবং শাক-সবজি (ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং খনিজের জন্য) খান।
পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে ঘরে রান্না করা খাবার এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন ঐশ্বরিয়া। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নায়িকা পরামর্শ দিয়েছেন, শাক-সবজি ও ফল-মূল খাওয়ার বিকল্প নেই। আপনার ত্বককে সর্বদা তরুণ এবং সুন্দর রাখতে এগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
ঐশ্বরিয়ার স্কিন কেয়ার রুটিন-
প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানের সাহায্যে রূপচর্চা করেন তিনি। বেসন, দুধ এবং হলুদ দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করেন তিনি। এসব উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এ ছাড়াও তিনি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে দই ব্যবহার করেন। সেইসঙ্গে শসার রসও ত্বকে ব্যবহার করেন নায়িকা।
ঐশ্বরিয়া নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। প্যাকটবন্দী প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান দিয়েই রূপচর্চা করে থাকেন তিনি। এ কারণেই তার ত্বকের বয়স বাড়েনি। শুধু সৌন্দর্যচর্চায় নয় ফিট থাকতেও তিনি প্রচুর শাক-সবজি ও ফল-মূল খেয়ে থাকেন।
এই নায়িকার প্রিয় কসমেটিক ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে- ম্যাক, ল্যাকমে, রেভলন এবং মেবেলিন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় চোখে আইলাইনার ও মাশকারা অবশ্যই ব্যবহার করেন তিনি। ঠোঁটে এবং ব্লাশন হিসেবে গালে গোলাপি, পীচ এবং বাদামি রঙের শেডগুলো ব্যবহার করতে পছন্দ করেন ঐশ্বরিয়া।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ