রাজধানীর ১৩টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে আইসিইউ শয্যা। ৩৮৪টি শয্যার মধ্যে আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত খালি ছিলো ১৩৩টি শয্যা। আর সাড়ে তিন হাজারের মতো সাধারণ শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ২ হাজারের বেশি শয্যা। এছাড়া, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড নাইনটিন হাসপাতালে আসা রোগীদের ৭০ ভাগেরও বেশি ঢাকার বাইরের।
নড়াইল থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড ১৯ হাসপাতাল এসেছেন মৌসুমি আক্তার। গত ২১ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে পরিবার। তার মতো অনেকেই আছেন এই হাসপাতালে।
রোগীর স্বজন জানান, জেলাগুলোয় অক্সিজেনের মাত্রা অনেক কম। খুলনায় সিট নেই, সেখানের অবস্থা খুবই খারাপ। জেলা সদর থেকে রিলিজ দিয়ে দেয়। এ কারণে আমরা এখানে নিযে এসেছি।
আরো এক রোগীর স্বজন বলেন, হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হন। করোনা টেস্ট করার পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এখন বাবার শরীরের অবস্থা খুুব একটা ভালো না।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড- ১৯ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানালেন, এই হাসপাতালে আসা রোগীদের ৭০ শতাংশের বেশি ঢাকার বাইরের। প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন রোগী আসেন। ২১২টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ১০০টিতেই রোগী রয়েছেন।