রাজধানীর মগবাজারের শরমা হাউসে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ আরও কয়েকজন বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
রোববার ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল সোমবার পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পুরো এলাকা ঘুরে দেখে তিনি বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় বোম্ব এক্সপ্লোসন ইউনিট নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে খতিয়ে দেখা হবে।
আইজিপি বলেন, ‘আপনারা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন এ ধরনের দুর্ঘটনা একাধিকবার হয়েছে। একটি শনির আখড়ায়, আরেকটি নারায়ণগঞ্জ মসজিদের মধ্যে হয়েছিল।’
‘ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস তদন্ত কমিটি করেছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বোম্ব ও এক্সপ্লোসন ইউনিট নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনাটি তলিয়ে দেখা হবে। তদন্ত শেষে ফায়ার সার্ভিস ঘটনার কারণ জানাবে এবং আমাদের তদন্ত কমিটিও কারণ জানাবে।’
তিনি বলেন, এটি একটি একমুখী ধ্বংসযজ্ঞ। বোমা হলে চতুর্মাত্রিক ধ্বাংসযজ্ঞ হতো। তবে সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করে দেখা হবে।
বেনজীর বলেন, আপাতত অন্য কারণে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে এই পর্যায়ে কোনো কমেন্ট না করি, সিদ্ধান্ত না দেই। এক্সপার্ট অপিনিয়ন আসুক এরপর বোঝা যাবে কী ঘটেছিল। এই পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমেই আমরা দেখার চেষ্টা করি কী হয়েছিল। বিস্ফোরণ কেন ঘটেছিল। এরপর আমরা খুঁজি পেছনের ঘটনা।’
আইজিপি বলেন, ‘গ্যাসের সিলিন্ডার যদি পুরোপুরি মেইনটেইন না করা হয় সেটিই হয়ে যায় বোম্ব। কোনো ইলেকট্রনিক বাতি জ্বালানোর চেষ্টা করলে যদি স্পার্ক সৃষ্টি হয় এ সময় গ্যাস সিলিন্ডারের মেইন্টেনেন্স খারাপ থাকলে মুহূর্তের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এগুলো সতর্কতার বিষয় রয়েছে।’
‘তবে আমরা সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছি। এ ধরনের দুর্ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার প্রমুখ।