মহামারি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে ধেয়ে আসছে রাজধানীর দিকে। এরই মধ্যে হাসপাতালগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর চাপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বাড়তি চাপ সামলাতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও শয্যা অনুপাতে রোগীর সংখ্যা বেশি হলে তা মোকাবিলায় বেগ পেতে হতে পারে।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে, গত ২ মাস ধরে নাস্তানাবুদ সীমান্ত অঞ্চল গুলো। রাজশাহীর পরে খুলনা বিভাগেও হাসপাতালে শুধুই হাহাকার।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জামিল জানান, সংক্রমণটা ঢাকার দিকে বাড়তে থাকবে। আমরা যে ভয়টা করেছিলাম ঈদের সময়, ঢাকার সংক্রমণ জেলাতে ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু দেখা গেছে যে, নতুন এ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টকে রিপলিস করে ফেলেছে এটা। ‍সুতরাং এবার ঘটনাটা ঘটেছে উল্টো। এবার জেলা শহর থেকে ঢাকায় ঢুকছে। তাই এখানে সংক্রমণটা বাড়তে থাকবে।

এমন অবস্থায় গত সপ্তাহে আইসিডিডিআরবি জানায়, ঢাকাতেও এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। ঘনবসতি হওয়ায় মহাঝুঁকিতে রাজধানী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দেশজুড়ে সংক্রমণের হার বিবেচনায় উদ্বেগে ফেলছে ঢাকা। তবে, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে হাসপাতালগুলো প্রস্তুতি নিলেও সংক্রমণের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা মোকাবিলায় সহজ হবে না।

এই মুহূর্তে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এ নিয়ন্ত্রক সংস্থার।