ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন। তাকে নির্যাতনও করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
গত চার দিন ধরে এর বিচার চেয়ে মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু সব জেনেও সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছে।
অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দারস্থ হয়েছেন তিনি।
রোববার রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন পরীমনি।
মূলত ওই স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীকে মা সম্বোধন করে তার কাছে বিচার চেয়েছেন পরীমনি। জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তার মাকে খুব দরকার।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেওয়া পরীমনির সেই স্ট্যাটাস পোস্টের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
পোস্টের পর ১ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে প্রায় ৫০ হাজার লাইক জমা পড়েছে তাতে। মন্তব্য জমা পড়েছে ১৪ হাজারের বেশি। শেয়ার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার।
সিনেপ্রেমীদের প্রশ্ন, হঠাৎ কেন এমন স্ট্যাটাস দিলেন পরীমনি? কে বা কারা নির্যাতন করেছেন এই চিত্রনায়িকাকে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব কেন?
প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন আকারে দেওয়া পরীমনির সেই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো,
আমাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: পরীমনি
‘বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এই বিচার কই চাইব আমি? কোথায় চাইব? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজির আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাই না মা। যাদেরকে পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!
আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারি না। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কি বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মত (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পড়ে গেল) আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো।
আফসোস ছাড়া কারোর কি করবার থাকবে তখন! আমি তাদের মত চুপ কি করে থাকতে পারি মা? আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোন অন্যায় মেনে নিতে! আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এতদিনে কখনো আমার এক মুহূর্ত মাকে খুব দরকার এখন, মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে, ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার, একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্যে দরকার।
আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্যে আপনাকে দরকার মা। মা আমি বাচঁতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।