পোস্ট কোভিড জটিলতা থেকে মুক্ত হলেও বিভিন্ন পুরনো শারীরিক জটিলতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে শুক্রবার (১১ জুন) সকালে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, উনার মিনিমাম যে প্যারামিটারগুলো আছে পোস্ট কোভিডের থেকে উনি মোটামুটি বেটার।’
‘ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো উদ্বেগজনক। তার হার্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। উনারা (মেডিকেল বোর্ড) মনে করেন যে, বাংলাদেশের হাসপাতাল এবং অ্যাডভান্স সেন্টার তানার ট্রিটমেন্টের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন যে, উনার (খালেদা জিয়া) এডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়ে এডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরি। আমরা সেটা বার বার বলছি।’
খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কি-না প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগেও বলেছি, এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছি- দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। একেবারে রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।’
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত, তারপরে যাবতীয় যেসব আইন করেছে তা আদালত করেছে। আর খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় করে থাকে তাহলে আদালত করেছে। কোনো আইনেই কোনোভাবেই তার সাজা হতে পারে না এবং তার আবার বর্ধিত করা যেতে পারে না। ওই জায়গায় আদালতের প্রতি আস্থাটা আমাদের এতো কম যে, আমারা ধীরে সুস্থে চিন্তাভাবনা করে আদালতে যাব।’
গত ২৭ এপ্রিল পোস্ট কোভিড জটিলতায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। এরপর ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গত ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
এর আগে, গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসভবনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। সেরে ওঠেন ৯ মে।