২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ কাতারে।

আরব বিশ্বে এটি হবে ফিফার প্রথম বিশ্বকাপ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এটিই হবে প্রথম বড় কোনো আসরের আয়োজন।

এদিকে বায়ো বাবল সুরক্ষায় এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকার অঞ্চলে ভাগ হয়ে চলছে বাছাইপর্বের ম্যাচ।

ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ড্র করেছে বাংলাদেশ।  সামনে রয়েছে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।

চলমান বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবলে বাংলাদেশ দলে খেলছেন ডিফেন্ডার রিমন হোসেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে কোচ জেমি ডে ৮০ মিনিটে রহমত মিয়াকে উঠিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন রিমন হোসেনকে।

জানা গেছে, বিশ্বকাপ ও এশিয়া অঞ্চলে অংশ নেওয়া দেশগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়স তারই। বসুন্ধরা কিংসের এই লেফটব্যাকের বয়স মাত্র ১৬ বছর।

কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন এই তরুণ ফুটবলার।

বিষয়টি তার জন্য গর্বের বটে, দারুণ খুশিও তিনি।

এ নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় রিমন বলেন, ‘এত অল্প বয়সে জাতীয় দলে খেলছি, এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। আমি যেন নিজের পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারি এবং দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলতে পারি। সেই চেষ্টা করব। সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে চাই আমি। তার সঙ্গে নিজের জায়গাটাও ধরে রাখতে চাই। সবাই আমার ও আমাদের দলের জন্য দোয়া করবেন।’

হয়ত সোমবার সুনীল ছেত্রীর দলের বিপক্ষে রিমনকে আবার মাঠে নামাবেন কোচ জেমি ডে।

ফুটবলার তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শামসুল হুদা অ্যাকাডেমি থেকে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন রিমন হোসেন। নেপালের মাঠে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের জন্য ঘোষণা করা স্কোয়াডে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের এই ডিফেন্ডার।

২০১৫ সালে ক্লাব ফুটবলে হাতেখড়ি রিমনের। শামসুল হুদা অ্যাকাডেমি প্রধান কোচ কাজী মারুফের হাত অ্যাকাডেমিতে আগমন রিমনের।

গত মার্চে এক গণমাধ্যমে কাজী মারুফ বলেছিলেন, ‘রিমনকে তিনি নওগাঁ থেকে নিয়ে আসেন। জেলা দলের তৎকালীন খেলোয়াড় ছিলেন আরিফ। তার মাধ্যমে জানতে পারেন ক্লাস সিক্সে পড়া রিমনের কথা। বয়সের তুলনায় রিমনের শারীরিক গড়ন বেশ সুঠাম। বিষয়টি তার নজরে আসে। এরপর এক সপ্তাহের ক্যাম্পে সুযোগ করে দেন ওকে। এর পর প্রতিভার গুণেই রিমন অ্যাকাডেমিতে ঠাঁই করে নেয়।’