ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে অব্যাহতভাবে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।  অপরপক্ষে পাল্টা জবাবে ইসরাইল অভিমুখে সহস্রাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হামাস।

গত সাত দিনে সর্বোচ্চ রকেট হামলার মুখোমুখি হয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি।  ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে রোববার পর্যন্ত গাজা থেকে ৩ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে ইসরাইলে।

এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরাইলের সেনাবাহিনী রোববার স্বীকার করেছে, এবারের সংঘাতে তারা ফিলিস্তিন থেকে সর্বোচ্চহারে রকেট হামলার মুখে পড়েছে।  গাজা উপত্যকা থেকে যে হারে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলা হচ্ছে, তা দেখে রীতিমতো বিস্মিত ইহুদিবাদী দখলদার দেশটি।

ইসরাইল সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ওরি গোর্দিন জানান, ২০১৯ ও ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধেও এতো রকেট হামলা করা হয়নি।

ইসরাইলের কমান্ডার একটি গ্রাফিকের মাধ্যমে রকেট হামলার অতীত ও বর্তমান চিত্র তুলে ধরে এসব তথ্য জানান।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন হামাস সোমবার পর্যন্ত ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় তিন হাজার রকেট ছুড়েছে বলে জানান ইসরাইলি এ মেজর।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, আয়রন ডোমের মাধ্যমে তারা অধিকাংশ রকেট হামলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার গাজা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আয়রন ডোমের দুর্বলতা সামনে আসছে। গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট আয়রন ডোম ফাঁকি দিয়ে ইসরাইলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইল রোরবার সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনে।  নারী-শিশুসহ এদিন ৪২ বেসামরিক ফিলিস্তিনি ইসরাইলের বর্বরোচিত বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ইসরাইলি বাহিনী রোববার গাজা সিটির আবাসিক এলাকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন শিশু ও নারীরা।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রোববারের হামলায় ১০ শিশু ও ১৬ নারীসহ ৪২ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু।