অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সোমবারও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। টানা আট দিন ধরে দখলদারদের বর্বরোচিত এ আগ্রাসনে ইতোমধ্যে অন্তত ১৯২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৫৮টি কোমলমতি শিশুও। আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণ সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় প্রতি ঘণ্টায় তিনটি শিশু আহত হচ্ছে।

উপত্যকা এলাকায় গত সোমবার (১০ মে) থেকে ইসরায়েলি দখলদারদের টানা বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৩৬৬ শিশুসহ এক হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

এ নিয়ে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যাসন লি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পদক্ষেপ নেয়ার আগে আর কতগুলো পরিবারকে প্রিয়জন হারাতে হবে? বাড়ির ওপর বোমাবৃষ্টি শুরু হলে শিশুরা কোথায় যেতে পারে?

তিনি বলেন, গাজায় বসবাসকারী পরিবারগুলো ও আমাদের কর্মীরা বলছেন, তারা ভেঙে পড়ার মুহূর্তে চলে এসেছেন। তাদের আশ্রয় নেয়ার জায়গা নেই আর খুব শিগগিরই এর কোনো সমাপ্তিও দেখা যাচ্ছে না। তারা যেন জাহান্নামের মধ্যে বাস করছেন।

এর আগে, গত রোববার টেলিভিশনের এক ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের আহ্বান ও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী পূর্ণশক্তিতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এতে আরও সময় লাগবে। নেতানিয়াহুর দাবি, তারা গাজার হামাস শাসকদের কাছ থেকে ‘ভারী মূল্য আদায়’ করে ছাড়বেন।

সূত্র: আল জাজিরা